1 |
সংজ্ঞা |
পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র নদীক্ষয়ের মাধ্যমে ভূমিরূপ বিবর্তন প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র বলে। |
কেবলমাত্র মরু অঞ্চলে বায়ু দ্বারা ভূমিরূপের বিবর্তনকে মরু ক্ষয়চক্র বলে। |
2 |
জলবায়ু অঞ্চল |
ইহা প্রাধান্য লাভ করে আর্দ্র বা বৃষ্টিবহুল জলবায়ু অঞ্চলে। |
ইহা শুষ্ক জলবায়ুতে বার্ষিক 25 cm- র কম বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে ঘটে। |
3 |
ক্ষয়কারী শক্তি |
প্রবাহমান জলধারা বা নদীর ভূবিবর্তনের প্রধান চালিকা শক্তি। |
বায়ুপ্রবাহ এক্ষেত্রে মুখ্য হলেও জলধারার প্রভাব থাকে। |
4 |
সূচনা |
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভূভাগের উত্থান ঘটে, এই ক্ষয়চক্র শুরু হয়। |
পূর্ববর্তী পেডিপ্লেনের উত্থান ঘটে, বায়ুর ক্ষয়কার্য শুরু হয়। |
5 |
আপেক্ষিক উচ্চতা |
তীব্র নিম্নক্ষয়ের জন্য এর যৌবন পর্যায়ে ভূমির আপেক্ষিক উচ্চতা বাড়ে। |
একই সাথে উচ্চভূমির ক্ষয় হয় ও নিম্নভূমি ভরাটের জন্য যৌবন পর্যায়ে ভূমির আপেক্ষিক উচ্চতা হ্রাস পায়। |
6 |
হ্রদ |
বার্ধক্য পর্বে পরিত্যক্ত নদীবাঁকে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়। |
প্রাথমিক অবস্থা থেকেই কেন্দ্রীয় প্লায়া হ্রদ থাকে। |
7 |
ভূবন্ধুরতা |
এর পরিণত পর্যায়ে ভূবন্ধুরতা সর্বাধিক হয়। |
এক্ষেত্রে যৌবন পর্যায়ে। |
8 |
ক্ষয়চক্রের শেষ সীমা |
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের শেষ সীমা সমুদ্রপৃষ্ঠ। |
এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্লায়া হ্রদের জলতল ও স্থায়ী ভৌম জলতল। |
9 |
নদীতে পরিণত হওয়া |
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র যেখানে ঘটে সেসব স্থানের নদীগুলি প্রধান নদীতে বা সমুদ্রে পতিত হয়। |
এখানকার নদীগুলি কেন্দ্রীয় পর্যাঙ্ক বা প্লায়াতে শেষ হয়। |
10 |
নদীর ভূমিকা |
এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে অনুগামী নদীর প্রাধান্য থাকলেও ভূমিরূপ গঠনে পরবর্তী নদী গুলি প্রধান ভূমিকা নেয়। |
এক্ষেত্রে অনুগামী নদী গুলি প্রথম থেকেই প্রাধান্য লাভ করে। |
11 |
অবশিষ্ট পাহাড় |
এই ক্ষয়চক্রের শেষ পর্যায়ে গঠিত অবশিষ্ট পাহাড়কে বলে মোনাডনক। |
এক্ষেত্রে ক্ষয়জাত অবশিষ্ট টিলা গুলিকে ইনসেলবার্জ বলে। |
12 |
সমভূমি |
এর শেষ পর্যায়ে গঠিত সমভূমিকে সমপ্রায় ভূমি (Peneplain) বলে। |
এর বার্ধক্য অবস্থায় গঠিত সমভূমিকে পেডিপ্লেন বলে (Pediplain)। |
13 |
প্রবক্তা |
ডব্লিউ এম ডেভিস(1899) |
ডব্লিউ এম ডেভিস এবং এল সি কিং। |